Skip to main content

ঢালাই কাজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু লক্ষণীয় বিষয়-

ঢালাই কাজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু লক্ষণীয় বিষয়-
-------------------------------------------------------
সাটারিং:
.ঢালাই করার পুর্বে দেখতে হবে সাটারিং ঠিক মত করা হয়েছে কিনা এবং পরিস্কার আছে কিনা।
.স্টিলের হলে এর তলে তৈল দেয়া আছে কিনা দেখতে হবে।
কাঠের হলে এর ভেতরের দিকের দিক সমান আছে কিনা দেখতে হবে।
.ঢালাই করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পানি বের না হয়।
.কাঠের সাটার হলে জয়েন্টে পাতলা টিনের ফিতা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। এই পাতলা টিনের ফিতাকে লোকাল ভাষায় ময়ুরী বলে।
.স্টিলের শাটার হলে জয়েন্টের মাঝে ফোম বা জুট টেপ দিতে হবে।
.সাটারিং এর সাপোর্ট ঠিক মত দেয়া আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে যেন কাজের সময় নড়ে না যায় বা ভেঙে না যায়।
) স্লাবের সাটারিং ২১ দিন পর ­M¡m¡­a হবে
রড:
----------------
.প্রয়োজনীয় Structural ডিজাইন অনুসারে রড় বিছানো হয়েছে কিনা তা যাচাই করা,
.রডের লে-আউট সোজা আছে কিনা তা দেখে নেওয়া,
. রডের পুরুত্ব বা ডায়া ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নেওয়া,
. রডের মধ্যবর্তী গ্যাপ বা দুরত্ব ঠিক আছে কিনা তা দেখে নেওয়া,
. সঠিক মাপের হুক বেন্ডি দেওয়া হয়েছে কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে,
.রডের উপর ল্যাপিং দুরত্ব ঠিক আছে কিনা তা দেখে নেওয়া,
. জিআই (GI) তারের বাধন যাচাই করে নিতে হবে,
. কভারিং ঠিক রাখতে ব্লক ব্যবহার করতে হবে।
.জি আই তার দিয়ে মজবুত বাধন দিতে হবে
কাজ শুরুর পুর্বে:
---------------------------------------------------
মালামাল যন্ত্রপাতি ঠিকমত আছে কিনা দেখতে হবে,
লেবার মিস্ত্রি আছে কিনা দেখতে হবে
ভাইব্রেটর মেশিন চালু আছে কিনা দেখতে হবে।
ভাইব্রেটর অপারেটর আছে কিনা দেখতে হবে।
রাতে কাজ হলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে
কনসিল্ট কোন পাইপ থাকলে তা দেওয়া আছে কিনা দেখতে হবে
কোন ডাক্ট থাকলে সেটা দেখে নিতে হবে
সাটার রিপেয়ারের জন্য মিস্ত্রি থাকতে হবে
ঢালাই এর সময়:
---------------------------------------------------
1.
ঢালাইয়ের সময় সাটারিং ঠিক করার জন্য মিস্ত্রি থাকতে হবে
2.
পাঁচ ফুটের বেশি উপর থেকে কংক্রিট ঢালাই করা যাবে না
3.
ভাইব্রেটর ঠিকমত করতে হবে
4.
কংক্রিট এর লেভেল ঠিকমত থাকতে হবে
5.
কংক্রিট সার্ফেসের ফিনিশিং ভাল হতে হবে
ঢালাই এর পরে লক্ষনীয়:
-------------------------------------
1.
কিউরিং ঠিকমত করতে হবে
2.যথেষ্ট সময় পর্যন্ত কিউরিং করতে হবে
3.
সাটার নির্দিষ্ট সময়ের পরে খুলতে হবে
4.
সঠিক নিয়ম মেনে নির্দীষ্ট সময়ের পরে সাটার খুলতে হবে।
🏠 আপনাদের জন্য আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস।
জনসচেতনতায়:- MANGALAM DUTTA CONSTRUCTION
https://www.facebook.com/tirthankur.dutta/
https://mangalam-dutta-construction-building.business.site/


বিল্ডিং এর ডিজাইন খুঁটিনাটি বিষয়গুলি সম্বন্দে নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের মূল পেইজে লাইক দিয়ে নিয়মিত সাথেই থাকুন।।


Comments

Popular posts from this blog

একটি বিল্ডিংনির্মাণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাজের ধাপগুলি জেনে নিন।

একটি বিল্ডিংনির্মাণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাজের ধাপগুলি জেনে নিন । . আমাদের সমাজ জীবনে সকল কাজ করতে হয় একটি নির্দীষ্ট ক্রম অনুসরন করে । ঠিক তেমনি একটি ভবন তৈরির ক্ষেএেও একটি নির্দীষ্ট ক্রম অনুসরন করতে হয়। কখন কোন কাজ শুরু হয় আবার কোন কাজ শেষ হয় আবার কোনো কোনো কাজ এক সাথে সমান্তরালে চলতে থাকে। কখন কোন কাজটি হবে তা নির্ধারণের জন্য একটি নির্মানক্রমের প্রয়োজন হয়। যাকে প্রকৌশলীদের ভাষায় “ কনস্ট্রাকশন সিকোয়েন্স ” বলা হয়। “ কনস্ট্রাকশন সিকোয়েন্স ” কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হলো “ কাঠামোগত বা স্ট্রাকচারাল কাজ ”, আর অপরটি হলো “ সৌন্দর্য বর্ধণ বা ফিনিশিং কাজ ” । একটি ভবনের কাজের “ কনস্ট্রাকশন সিকোয়েন্স ” নিন্মে তুলে ধরা হলোঃ প্রথম ধাপ : সাইট মোবিলাইজেশন বা সাইটে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সন্নিবেশ করা , দ্বিতীয় ধাপ : ভূমি জরিপ করে ভূগর্ভস্থ মাটি পরীক্ষা করা , তৃতীয় ধাপ : আর্কিটেকচারাল , স্ট্রাকচারাল , প্লাম্বিং , ইলেকট্রিক্যাল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ড্রয়িং তৈরি ক

building

বর্ষা মৌসুম প্রায় শেষের দিকে । সামনেই আসছে বিল্ডিং নির্মাণের উপযুক্ত সময় । শুকনো মৌসুমে যারা বাড়ির কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করছেন আপনারা এখনি জমি বাছাই করে নিতে পারেন । আর জমি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই সমতল জমি নেওয়া ভালো । খুব নিচু জায়গা হলে অতিরিক্ত টাকা খরচ হবে এবং সুয়্যারেজের সমস্যা হতে পারেন । জমি বাছাই হয়ে গেলে পরিকল্পনা মাফিক ডিজাইনের কাজ শুরু করে দিতে পারেন। কারণ ভালো ডিজাইন পেতে ইঞ্জিনিয়ারকে অবশ্যই কিছু দিন সময় দিতে হবে কাজ করার জন্য। আর ডিজাইনের কাজটি অবশ্যই মানসম্মত কো ন ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের মাধ্যমে করাবেন।   ডিজাইন করানোর সময় লক্ষ্য রাখবেন আপনার ডিজাইনটি যেন একজন আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ার আর্কিটেকচারাল কাজটি করে। আর একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার যেন স্ট্রাকচারাল ডিজাইনের কাজটি করে। তাহলে আপনি মানসম্মত ও মনোমুগ্ধকর ডিজাইন পেতে পারেন। আর্কিটেকচার ইঞ্জিঃ সিভিলের কাজ আর সিভিল ইঞ্জিঃ আর্কিটেকচার কাজ করলে আপনার অযথা লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট হবে এবং জীবন পড়বে